শিক্ষা ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত সামাজিক ন্যায়নিষ্ঠতার মূল চাবিকাঠি । করোনা মহামারীর সব চেয়ে বড় প্রভাব মনে হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে যদিও অর্থনৈতিক চাপের কথা বার বার ফিরে আসছে । অনেক অনগ্রসর শিশু, যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পূর্ব-বিদ্যমান শিক্ষার বৈষম্য আরও বেড়ে উঠেছে।
এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ১৫৩ টি দেশের স্কুল বন্ধ হয়েছে এবং প্রায় ১২০ কোটি শিক্ষার্থী কোভিড -১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যের একটা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে এ সংকটের প্রভাব কয়েক দশক থাকবে।
অন্যদিকে, এই সংকটটি শিক্ষা খাতের মধ্যে উদ্ভাবনকে উদ্বুদ্ধ করেছে। কিন্তু রেডিও, টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও অনেকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা, সংখ্যালঘু গরিব বা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের পাশাপাশি শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা পিছনে থেকে যাচ্ছে ।

এ মহামারী, প্রযুক্তির বিস্তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের শিক্ষাদান এবং শিক্ষার বিদ্যমান পদ্ধতিগুলি পরিবর্তিত বিশ্বে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকদিন থেকেই শিক্ষা একটি ‘জ্ঞান-বিতরণ’ মডেল থেকে একটি ‘জ্ঞান-সহযোগী’ মডেলের দিকে এগিয়ে চলেছে যা সারা বিশ্বের মানুষকে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি সহ প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে যাচ্ছে। করোনা মহামারী জ্ঞান-সহযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনিয়তাকে অধিকতর দরকারি বলে দেখিয়ে দিচ্ছে ।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমুহকে শিক্ষার নতুন টেকসই মডেল তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে কেননা এ ধরনের মহামারী ও ঋতু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগ শিক্ষার ক্ষেত্রে এধরনের পরিস্থিতি মাঝে মধ্যেই তৈরি করতে পারে।
লেখকঃ মোহ বাঙ্গালি [আপনি যদি এই সম্পর্কে আরো পড়তে চান এখানে একটা অবলম্বিত তথ্যসূত্র]