শিশুরা করনা ভাইরাস থেকে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম যদিও একেবারে মুক্ত না ।প্রাপ্তবয়স্করা, বিশেষত বয়স্করা, গুরুতর অসুস্থ এবং জটিলতায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এক গবেষণা্য, ৫৫,০০০ এরও বেশি হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে কেবলমাত্র 0.৮% ভাগ ছিল ১৯ বছরের কম বয়সী।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের এবং বড়দের উপসর্গগুলো প্রায় একই। যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি ,শ্বাসকষ্ট ,গলা ব্যাথা ,ডাইরিয়া ,বমি, দুর্বল, মাথা ব্যাথা, গাঁ ব্যাথা,খাবারে অরুচি ।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব কমই উপসর্গ দেখা যায়, বেশির ভাগ বাচ্চার ক্ষেত্রে উপসর্গ বিহীন অথবা ম্রিদু উপসর্গ থাকে । যদিও মৃত্যুর ঘটনা খুবই কম তবে প্রদাহজনিত কারনে সঙ্কটাপন্ন অবস্থা বিরল কিছু ক্ষেত্রে তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে উপসর্গগুলো একটু ভিন্ন। জ্বর ,চোখ লাল ,শরীরে লাল দাগ, গলা ব্যাথা, হাত-পা ফুলা, স্ত্রবেরি জিহ্বা ইত্যাদি ।
বাচ্চাদের রোগটি হালকা কিংবা কোনও লক্ষণ না থাকার কারন মনে হয় তাদের ফুসফুসে কোষের সংক্রমণে করোনভাইরাসটি সংক্রামিত করতে যে রিসেপ্টরগুলি লাগে তা কম সংখ্যক থাকা । তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সমর্থন করার মতো ভাল কোনও প্রমাণ এখনও পান নি ।

প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল শিশুরা ভাইরাসটি আক্রান্ত হওয়ার পর তারা কোনও লক্ষণ না দেখিয়েই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সংক্রমণে বাচ্চাদের ভূমিকা যদিও অস্পষ্ট তবে তখন থেকে চলে আসা সব গবেষণা মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে সংক্রমণগুলি শিশুদের দ্বারা ছড়ানোর সম্ভাবনা কম । স্কুল খোলার কারনে সংক্রমন ছড়িয়ে যাওয়ার কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে, তবে স্কুল না খোলার সাথেও অন্য ঝুঁকি রয়েছে যেমন শিক্ষা ও মানসিক সুস্থতার অভাব । এখন বড় প্রশ্ন আমরা কতটুকু ঝুঁকি নিব? তবে আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষার কথাটা খুব করে ভাবার সময় এখনই কেননা আমরা হয়তো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করছি । যুক্তরাজ্যের একটা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে এ সংকটের প্রভাব কয়েক দশক থাকবে।
লেখকঃ ওরিয়াস নীলা [আপনি যদি এই সম্পর্কে আরো পড়তে চান এখানে একটা অবলম্বিত তথ্যসূত্র]